সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালে নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এমনটা জানান মিপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্করের ক্রিভ্যাল ভিশনের (চশমার দোকান) কর্মচারী মো. মাহমুদ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোনোভাবে দোকান চালাচ্ছি। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি। কোনো মতে আমাদের দোকানের খরচ উঠানোর চেষ্টা করছি। যদি দোকানের খরচটা আসে। আমার বেতন ২ মাসের বকেয়া। কাজও ছেড়ে দিতে পারছি না। খুব খারাপ সময় পার করছি। ’মিরপুর ১১ নম্বরের আল্লাহ্ শাফি হোমিও হলের মালিক মো. আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত এক মাস ধরে খুব বাজে সময় পার করছি। ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। দোকানে ক্রেতা নাই বললেই চলে। পেটের দায়ে এই করোনার মধ্যে দোকান খুলছি। এই লকডাউনের মধ্যে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দোকান চালাচ্ছি। এরই মধ্যে যা বিক্রি হয়, এ দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি। ’
মিরপুর ১২ নম্বরের ডেইলি মার্টের মালিক শাহাদত হোসেন বাংলানিউকে বলেন, ‘আমার চারটি দোকান। আমার ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। লকডাউনের আগে আমার বেচাবিক্রি হতো প্রায় দুই লাখ টাকা। এই দোকানগুলো আমি নিয়মিত খুলতে পারছি না। অন্য সময় দোকান খোলা রাখতাম সকাল ৭টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত। এই ক্লান্তিলগ্নে দোকান খোলা রাখছি সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। সত্যি কথা বলতে এ সময় ব্যবসা করে আমি ভালো নেই। এখন রোজার মাস সামনে ঈদ আসছে। আমার কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দিতে হবে। চিন্তায় আর কিছু ভালো লাগে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এমএমআই/এএটি