মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সচল ছিল ১২৭টি শিল্প কারখানা। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২৩৫টি কারখানার মধ্যে চালু হয়েছে ১৭টি, বিকেএমইএর ৭৯২টি কারখানার মধ্যে ৮১টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮টি কারখানার মধ্যে ১৮টি ও বিটিএমএর ১৭২টির মধ্যে ১১টি চালু ছিল।
অবশ্য প্রতিটি কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল। কারখানাগুলোর মালিকরাও স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু করেছেন। পাশাপাশি ছিল শিল্প পুলিশের দিকনির্দেশনা ও মাইকিং। তারা কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের সচেতন করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখতে বলেন।
বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ও বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রথমেই ফ্যাক্টরিতে প্রবেশের সময় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, ব্লিচিং মিশ্রিত পাত্রে রাখা পানিতে পা ও জুতা পরিষ্কার করা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা। এসব দিকনির্দেশনা আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল তারা পালন করেছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ বলেন, আমরা মাইকিং করছি, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং শ্রমিকদের বোঝাচ্ছি যেন নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব তারা নিশ্চিত করে। আপাতত স্বল্প পরিসরেই কারখানাগুলো খোলা হয়েছে। প্রতিটি কারখানায় হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, গ্লাভস, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
আরবি/