বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) জেলার ১৫৯টি শিল্প কারখানাতেই স্বল্প পরিসরে উৎপাদনকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ২১টি, বিকেএমইএ’র ১০৫টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডের ২১টি ও বিটিএমএর ১২টি কারখানা রয়েছে।
এদিকে কারখানা চালুর প্রেক্ষাপটে মালিক-শ্রমিকদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে শিল্প পুলিশ মাইকিং করে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রচার করে। শ্রমিকদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই কারখানা খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কারখানার ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি পালনের ব্যাপারটি থাকলেও, কারখানার বাইরে শ্রমিকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানার প্রবণতা একেবারেই কম।
করোনা পরিস্থিতিতে কারখানা চালু ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত প্রসঙ্গে বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি ও বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রথমেই ফ্যাক্টরিতে প্রবেশের সময় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, ব্লিচিং মেশানো পানিতে পা ও জুতা পরিষ্কার করা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা। আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল তারা এসব দিকনির্দেশনা পালন করেছে।
সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪-এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ জানান, আমরা মাইকিং করছি, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছ এবং শ্রমিকদের বুঝাচ্ছি, যেন তারা নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে। প্রতিটি কারখানায় হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, গ্লাভস, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এমআরপি/এইচজে