প্রকল্পটির মোট ব্যয় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে নিজেদের থেকে ১০ কোটি ডলার দেবে বলে অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এই অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে এডিবির ঢাকা অফিস। এছাড়া বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হবে। প্রকল্পটি জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধেই প্রকল্পের সার-সংক্ষেপ বিশেষ ব্যবস্থা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে তিন হাজার ডাক্তার ও নার্সকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এমনকি স্টাফদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংখ্যাক ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হবে, যেসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেসবে। এছাড়া ১৭টি মেডিক্যাল হাসপাতাল ১৭টি আইসোলেশন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটসহ ১৯টি ল্যাবকে আপগ্রেড করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট সিকসিন চেন বলেন, এডিবি এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এই মহামারি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সাম্প্রতিক সাফল্যকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই প্রকল্পটি জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, চিকিৎসাসেবা সরবরাহ, ডায়াগনস্টিক সিস্টেম সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা উন্নীতকরণের মাধ্যমে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এমআইএস/টিএ