ফলে বরিশাল নগরের পোর্টরোডের একমাত্র বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি (বেসরকারি) সরগরম হয়ে উঠেছে। তবে জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়লেও শুক্রবার থেকে পরবর্তী দিনগুলোতে মাছের আমদানি এ অবতরণকেন্দ্রটিতে বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, টানা ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে অভায়শ্রমগুলোতে জেলেরা মাছ শিকারে নেমেছেন। তবে এখনও অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে ইলিশসহ মাছের আমদানি বাড়েনি, তবে আগামীকাল শনিবার (২ মে) থেকে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরা পড়ার খবর এরইমধ্যে বাজারে এসেছে। এছাড়া বৃষ্টিমুখর আবহাওয়াতে মাছ শিকারের জন্য বেশ উপযোগী।
মৎস্য ব্যবসায়ী নামির উদ্দিন জানান, বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও রমজান মাস শুরু হওয়ার কারণে বাজারে ভোক্তা কম থাকায় মাছের চাহিদা কিছুটা কম। তবে ইলিশের আমদানি বাড়লে মাছের দাম কমে গেলে এ চাহিদা বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই সামনের দিনগুলো জেলে-ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ভালো কাটবে।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, শুক্রবার ৬০০ থেকে ৯০০ শত গ্রাম ইলিশের পাইকারি দর ছিল প্রতি মণ ৩০ হাজার টাকা, পাশাপাশি ১ কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৩৫-৩৬ হাজার টাকা, ১২ শত গ্রামের ওপরে ইলিশের মণ ৪০-৪১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদিও ছোট আকারের ইলিশের মণ ১৪-১৫ হাজার টাকা, গোটলা ১৬-১৭ হাজার টাকা এবং ভ্যালকা ২২-২৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, নদীতে প্রচুর মাছ রয়েছে, জেলেদের জালে মাছও উঠছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২০
এমএস/আরআইএস