শুক্রবার (১ মে) ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ার মূল্য নিয়ে টুইট করেন ওই প্রতিষ্ঠাতাটির সিও ইলন মাস্ক।
তার মতে, টেসলার শেয়ারের মূল্য অত্যধিক বেশি উল্লেখ করে ওই টুইটে ইলন লেখেন, আমার মতামত অনুযায়ী, টেসলার স্টক মূল্য খুবই বেশি।
এমন টুইটের পরই শেয়ার বাজারে দ্রুতই দরপতন হতে থাকে টেসলার। বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দিলে প্রতিষ্ঠানটির দরপতন হওয়া শেয়ারের অংক দাঁড়ায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ব্যক্তিগতভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এলন মাস্ক। টেসলায় থাকা তার নিজস্ব শেয়ারের দর হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।
শুধু টেসলাই নয় বরং এ দিন ইলন মাস্ক নিজস্ব সম্পত্তি নিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি পৃথক পৃথক টুইট করেন।
এক টুইটে নিজের সব সম্পত্তি বিক্রির ঘোষণা দেন ইলন। তার মালিকানায় কোনো বাড়ি থাকবে না বলে সেই টুইটে জানান ইলন মাস্ক। এর খানিক বাদেই সাবেক অভিনেতা এবং প্রযোজক জিনি উইল্ডারের কাছ থেকে কেনা একটি বাড়ি বিক্রির টুইট করেন এই উদ্যোক্তা। ২০১৩ সালে বাড়িটি কিনেছিলেন ইলন মাস্ক।
এর আগেও ২০১৮ সালে শেয়ার নিয়ে টুইট করায় জটিলতায় পড়তে হয়েছিল পেপাল, স্পেস এক্স, টেসলার মতো জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠাতার। ২০১৮ সালে এক টুইটের জন্য নিউইয়র্ক স্টক মার্কেট ইলন মাস্ককে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আইনজীবীর পর্যালোচনা ছাড়া শেয়ার মার্কেট নিয়ে টুইটারে আর কোনো পোস্ট করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হয় ইলনকে।
সর্বশেষ এই টুইট আইনজীবীর পর্যালোচনায় পোস্ট করা হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে নেতিবাচক উত্তর দেন ইলন মাস্ক।
শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টেসলার শেয়ারের মূল্য নিয়ে কারসাজি করতেই এ ধরনের টুইট করে থাকেন ইলন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
এসএইচএস/এএটি