গত এক সপ্তাহে ১৪১টি নমুনার বিপরীতে ২৬ টির অনুমোদন দিয়েছে পণ্যের মান প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)৷
শনিবার (০২ মে) বিএসটিআই’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে আমদানি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পণ্যের মান প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ বিএসটিআই।
গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএসটিআইতে ১৪১টি নমুনা জমা পড়েছে। ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম অফিসে ৫৯টি নমুনা জমা পড়েছে এবং এই সময়ে উক্ত অফিস থেকে ১৬টি ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আমদানি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বন্দর এলাকায় অবস্থিত বিএসটিআইয়ের অফিসসমূহ শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিনের প্রতিদিন বন্দরে ছাড়পত্রের আবেদনকৃত পণ্যের নমুনা সংগ্রহসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিক কার্যাদি সম্পাদন করে থাকে। এরপর ল্যাবরেটরিতে উক্ত পণ্য পরীক্ষার মাধ্যমে বিল প্রদানের পরে দ্রুততম সময়ে ছাড়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পণ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিটিজেন চার্টার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম সময়ে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে আমদানিকৃত পণ্যের যেসকল নমুনা বিএসটিআইতে জমা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মিল্ক পাউডার, ইনফ্যান্ট ফর্মুলা, চিনি, ফ্রুট জুস, ফ্রুট কর্ডিয়াল, বাটার, বিস্কুট, সানফ্লাওয়ার অয়েল, চকলেট, লজেন্স, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, সফট ড্রিংকস পাউডার, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট, স্কিন ক্রিম, শ্যাম্পু, সিরামিক টাইলস, স্যানিটারি ওয়্যার অ্যাপ্লায়েন্স, সিরামিক টেবিল ওয়্যার ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, পণ্যের ছাড়পত্র এবং মান সনদ প্রদানের পাশাপাশি দেশজুড়ে বিএসটিআই সার্ভিল্যান্স অভিযান জোরদার করেছে। পণ্যের গুণগতমান বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে দেশব্যাপী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে বিএসটিআই।
পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তাসাধারণ যাতে মানসম্মত পণ্য পেতে পারে এবং অবৈধ ও নিম্নমানের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বাজারজাত রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খোলা বাজার/ সুপারশপে বিএসটিআই সচেতনতামূলক কার্যক্রম পূববর্তী সময়ের মতো পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘন্টা, মে ০২, ২০২০
জিসিজি/এমএইচএম