রোববার (৩ মে) সচল ছিল ২৩৮টি শিল্প কারখানা। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২৩৫টি কারখানার মধ্যে চালু হয়েছে ২৬টি, বিকেএমইএর ৭৯২টি কারখানার মধ্যে ১৭০টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮টি কারখানার মধ্যে ২৫টি ও বিটিএমএর ১৭২টির মধ্যে ১৭টি চালু ছিল।
এরমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ইতোমধ্যেই যোগদান করে কাজ করছেন। করোনার এসময়ে শারীরিক দূরত্ব মেনেই কারখানাগুলো সচল করা হয়েছে বলে মালিকপক্ষরা জানিয়েছে। তবে কারখানার বাইরে তাদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
অবশ্য প্রতিটি কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল বলে মালিকপক্ষের দাবি। কারখানাগুলোর মালিকরাও সল্প পরিসরে কাজ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি ছিল শিল্প পুলিশের দিক নির্দেশনা ও মাইকিং। তারা কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের সচেতন করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখতে বলেন। তবে কারখানার বাইরে তাদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা একেবারেই কম বলেও স্বীকার করে শিল্প পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ বলেন, আমরা নিয়মিত চেষ্টা করছি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যেন শ্রমিকদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব ও তাদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার ব্যাপারটি যেন নিশ্চিত করা হয়। তারা আমাদের আশ্বস্ত করছেন। তবে কারখানার বাইরে তাদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে কিছুটা সমস্যা হলেও আশা করছি তারা সচেতন হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
আরবি/