রোববার (৩ মে) বিকেল থেকে এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ করার জন্য রোববার দুপুরে বনগাঁ থেকে ছয়ঘরিয়া পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে দীর্ঘ ৩৮ দিন বন্ধ থাকার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। ভারতের পশ্চিম বাংলা রাজ্য সরকারের (তৃণমূল কংগ্রেস) সমর্থকদের দাবি ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি হলে ওই ট্রাকের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। এজন্য ফের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে করোনার কারণে দীর্ঘ ৩৮ দিন বন্ধ থাকার পর দু’দেশের উপরিমহলের নির্দেশে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি চালু করা হয়। কিন্তু আবারও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যাবসায়ীরা।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, সরকারি ও কাস্টমসের পক্ষ থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করা হয়নি। তবে রপ্তানি বাণিজ্য চালু থাকলে ট্রাক চালকদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে, এমন অজুহাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা আন্দোলন করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, সরকারিভাবে পেট্রাপোল বন্দর চালু আছে। কিন্তু কিছু সাধারণ জনগণ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বনগাঁওয়ে আন্দোলন করায় পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের আমদানি-রপ্তানি সচল হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারত থেকে ৩ দিনে ১৫ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। নোম্যান্সল্যান্ডে স্বাস্থ্য সংস্থার বিধিবিধান মেনেই লোড-আনলোড করা হয়েছে। আজ ভারতে জনগণের আন্দোলনের জন্য বিকেল থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পেট্রাপোল বন্দর পণ্য দিলে বেনাপোল বন্দরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২০
আরএ