ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘৪ মাসেও দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সমস্যা হবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২০
‘৪ মাসেও দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সমস্যা হবে না’

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতিতে আগামী ৪ মাসেও দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ যাবৎ গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ক্রেতারা যাতে সারা বছর সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজণীয় পণ্য কিনতে পারেন, সে জন্য চাহিদার নিরিখে আগামী এক বছরের অগ্রিম আমদানি কার্যক্রম গ্রহণে আমদানিকারকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আমাদের পর্যাপ্ত পণ্যের মজুদ রয়েছে। আমরা আগে থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ করেছিলাম, ফলে প্রচুর স্টক আছে। আরেও ৪ মাসেও দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সমস্যা হবে না। টিসিবিও পণ্য বিক্রিতে প্রস্তুত আছে।

‘আমাদের এ বছর যে পরিমাণ ছোলা মজুদ আছে তা দিয়ে আগামী রোজা পর্যন্ত চলে যাবে। শনিবার থেকে (৯ মে) থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। আগে থেকেই ডিলারের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। যাতে কোনো অনিয়ম না হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেটি পর্যবেক্ষণ করছে। ঢাকায়ও মন্ত্রণালয়ের ১০টি টিম আছে পর্যবেক্ষণে। টিসিবি আগের চেয়ে ১০ গুণ বেশি পণ্য স্টকে রেখেছিল। সে কারণে আমরা কিছুটা ভালো অবস্থায় থাকতে পারছি। ট্রাকে এবং ডিলারের মাধ্যমে ৫০০ স্পটে পণ্য বিক্রি চলছে। ’ 

এ প্রসঙ্গে টিপু মুনশি আরও বলেন, আদার ক্ষেত্রে বাজারে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু চাপ সৃষ্টি করে তার সমাধান করেছে ভোক্তা অধিকার। তারা রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাজার তদারকি করছে। শুধু তাই নয়, করোনা পরিস্থিতিতে একই সঙ্গে জনগণের মাঝে মাস্কও বিতরণ করছে ভোক্তা অধিকার। এরই মাঝে তারা মানুষের মাঝে ৫০ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছে।  

‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার তদারকিতে টিসিবি, ভোক্তা অধিকার ও মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক কাজ করছে। ভোক্তা অধিকার এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২শ’ জায়গায়  অভিযান চালিয়ে অনিয়মের কারণে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেছে। জরিমানা করা আমাদের উদ্দেশ্য না, তারপরও অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে এটি করতে হচ্ছে। এদিকে উপজেলা পর্যায়েও টিসিবির পণ্য গেছে। জীবনের ঝুঁকি কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাদেরও ছুটি বাতিল হয়েছে, ২৪ ঘণ্টাই কেউ না কেউ দায়িত্ব পালন করছেন। ’

মন্ত্রী বলেন, কোথাও কোথাও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী অসাধু কাজ করছেন। এসব কারণে অনেকের ডিলারশিপও বাতিল করা হয়েছে। এখন এটা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত ৭ দিনে কোনো অনিয়মের রিপোর্ট পাইনি। জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। সিটি ও মেঘনা গ্রুপকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে চিনি, তেল ও ডালের দাম কমিয়ে দিয়েছে। আশা করি অন্যরাও এগিয়ে আসবে।

শিশুখাদ্য প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, শিশুখাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতে আমদানি নীতির কপিতয় ধারা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। শিশুখাদ্য আমদানির জন্য স্বল্প সুদে জামানতবিহীন প্রণোদনা ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন>>> শনিবার থেকে ২৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
জিসিজি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।