সংশোধনীর ফলে কর আদায় না করতে পারলে রাজস্বহানির জন্য আয়কর কর্তৃপক্ষকেও দায় নিতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৭ মে) গণভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগের আইনে নতুন একটি ধারা (১৮৪জি) যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সময় গণনার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনক্রমে সবাইকে একটা এক্সাম্পটশন (অব্যাহতি) দিতে হবে। যদি এক্সাম্পটশন না দিত তবে জরিমানা এবং সুদারোপের বিধান ছিল। এজন্য এই আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষিত হওয়ায় গত ২৬ মার্চ তারিখ থেকে এই পর্যন্ত আয়কর বিভাগের সব দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ইতোমধ্যে করদাতারা এবং আয়কর কর্তৃপক্ষও ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের কতিপয় ধারার বিধান অনুযায়ী কার্যক্রম পরিপালন ও গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতার কারণে করদাতাদের উপর জরিমানা ও সুদ আরোপ এবং আয়কর কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রে সময় অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাজস্বহানির দায় আরোপের আইনগত সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এই জরিমানা ও সুদ এবং দায় আরোপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষের কোনো ধরনের ব্যক্তিগত সংশ্লেষ বা অবহেলা না থাকায় শুধু উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এ ধরনের আইনগত দায় সৃষ্টি হওয়ায় তা মওকুফের জন্য করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন ‘এপিডেমিক’, ‘পেনডেমিক’, ‘ওয়ার অ্যান্ড এনি আদার অ্যাক্ট অব গড’ উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-তে একটি নতুন ধারা ১৮৪জি সংযোজন করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
‘আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪’ এর যে সব ধারার বিধান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিপালন করতে হবে সেসব ধারার বিধান পূরণে ওই সময় পরিগণনার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ধারা অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মহামারিজনিত বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত সময় বাদ দিতে বা প্রমার্জন করতে বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরিপালনের জন্য সময় বর্ধিত করতে পারবে। ’
এখন আইন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে এটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংসদ বসার প্রথম দিনই এটি সেখানে উপস্থাপিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
এমআইএইচ/এএ