ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রথম কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করল ইউএস-বাংলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
প্রথম কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করল ইউএস-বাংলা ইউএস-বাংলার কার্গো ফ্লাইট

ঢাকা: যাত্রা শুরুর পর এই প্রথম কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। শনিবার (৯ মে) ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে এই কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করে এয়ারলাইন্সটি। 

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (০৯ মে) ঢাকা থেকে রপ্তানীযোগ্য পণ্য নিয়ে ইউএস-বাংলার বিএস-২১৩ কার্গো ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে এবং ব্যাংককের সূবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় অবতরণ করে।  

ব্যাংকক থেকে বিএস-২১৪ কার্গো ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে উড্ডয়ন করে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কার্গো ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউএস-বাংলার অনেক সফলতার মধ্যে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা বাংলাদেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত সুনামের সাথে প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে ইউএস-বাংলা। বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাস প্রাদূর্ভাবের কারণে সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশপথের পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে বিঘ্নিত। একমাত্র ইউএস-বাংলার একটি মাত্র প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট সপ্তাহের প্রতি শনিবার ঢাকা-গুয়াংজু রুটে পরিচালনা করছে।  

করোনা দূর্যোগে দেশের আমদানী-রপ্তানীকে সচল রাখার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরকারের কাছে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনুমতি চায়। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ইউএস-বাংলাকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি প্রদান করে।  

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বর্তমান অবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে মহামারি করোনা ভাইরাসের সময়কালে স্বাস্থ্যসেবাকে সচল রাখার জন্য চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী আমদানী করা যাবে। এছাড়া জরুরি রপ্তানী পণ্য সামগ্রী বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য, পচনশীল দ্রব্য শাক-সবজি ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানীতে ভূমিকা রাখবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।  

দেশের আমদানী-রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ইউএস-বাংলা প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখতে পারবে। প্রতিটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটে প্রায় ১৫ টন কার্গো পরিবহন করতে পারবে। বাংলাদেশের সঙ্গে কার্গো পরিবহনে যেসব দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সেসব দেশে কার্গো পরিবহন করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, চীন, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্গো পরিবহনের পরিকল্পনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।  

ইউএস-বাংলার কার্গো ফ্লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মোবাইল নম্বর ০১৭৭৭৭০৭৫০৩ এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
টিএম/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।