শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে কেপিএমকে নির্দেশনা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কারখানাটি এ উদ্যোগ নিয়েছে।
রোববার (১০ মে) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের করোনা পরিস্থিতিতে কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জীবাণুনাশক ব্লিচ উৎপাদন শুরু করেছে কেপিএম। গত ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানাটির অব্যবহৃত ব্লিচ উৎপাদনের প্ল্যান্টটির সিভিল, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ৩০ এপ্রিল এক ব্যাচে এক টন ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইটের ব্লিচ লিকার উৎপাদন করা হয়।
‘প্ল্যান্টটিতে আগে পাল্প সাদা করার জন্য ব্লিচ উৎপাদন করা হতো। কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, যানবাহন জীবাণুমুক্তকরণসহ কারখানার পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কাজে এই জীবাণুনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ বিষয়ে কেপিএম'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ড. এম এম এ কাদের বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলস বর্তমানে আমদানি করা পাল্প ও রিসাইকেল পেপার থেকে কাগজ উৎপাদন করছে। গত তিন বছরের মধ্যে চলতি অর্থবছরে ৯ মে পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৭৮৫ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরে সাড়ে সাত হাজার থেকে ৮ হাজার মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
জিসিজি/এএ