রোববার (১০ মে) দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বাণিজ্য সচিবের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) শামীম আল মামুনের সহযোগিতায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল, রজবী নাহার রজনী, রোজিনা সুলতানা, মাগফুর রহমান, তাহমিনা বেগম ও মাহমুদা আক্তার।
এছাড়া ঢাকার বাইরে ৫৯ জন কর্মকর্তা বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে ৮০টি বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।
তদারকিকালে পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, অধিকমূল্যে পণ্য বিক্রি করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করাসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়াও একই দিন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে মসলাজাতীয় পণ্যসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিকারক পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঈদ উপলক্ষে মসলাজাতীয় পণ্যসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মসলাসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে অধিদপ্তরের নিয়মিত ও বিশেষ বাজার তদারকি কার্যক্রম চলছে।
কোনো অসাধু ব্যক্তি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও মান নিয়ে কারসাজি করলে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে। একই সঙ্গে যারা নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ও দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, সেই সব সৎ ব্যবসায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
ইএআর/এএ