এ কারণে পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলধন সংরক্ষণ হারের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা দেওয়ার শর্ত আরোপ করে একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নীতিমালার প্রজ্ঞাপন সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংক ২ দশমিক ৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সেসব ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।
যেসব ব্যাংক ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে সেসব ব্যাংক ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।
যেসব ব্যাংক ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ বা তার বেশি থাকে সেসব ব্যাংক ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। তবে লভ্যাংশ চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করা যাবে না।
এরূপ যেসব ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম মূলধন ১১ দশমিক ২৫ শতাংশের কম কিন্তু ন্যূনতম সংরক্ষিত মূলধন ১০ শতাংশ হবে সেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার করতে পারবে।
যেসব ব্যাংক ইতোমধ্যে ২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ভিত্তিতে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সেসব ব্যাংকের ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ এ নীতিমালার বর্ণিত নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য না হলে তা স্থগিত করে যথা শিগগির সংশোধন করে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এসই/আরবি/