এই ঋণে প্রায় দেড় কোটির বেশি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ উপকৃত হবেন। এই ঋণের অর্থে অন্তত ২০ লাখ দরিদ্র পরিবার ২ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা পাবে।
গত ৭ মে ম্যানিলাতে এডিবির পরিচালনা পর্ষদ এই ঋণ অনুমোদন করে। সোমবার (১১ মে) নগরীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনে এডিবি ও সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে এই ঋণচুক্তি সই হয়। ইআরডির সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন।
মনমোহন প্রকাশ বলেন, এই সহায়তা জীবন ও জীবিকার জন্য, যা বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে খুবই প্রয়োজন। মাত্র এক মাসের মধ্যে এই ঋণের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। বাংলাদেশ খুব দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে যেতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এডিবির এই ঋণ কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে এডিবি। ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জরুরি সাড়া' প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ ও আইসোলেশন ইউনিটের উন্নয়নসহ কিছু জরুরি কেনাকাটায় ব্যবহার করা হবে।
করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ২৭ মার্চ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী কিনতে বাংলাদেশকে ৩ লাখ ডলার অনুদান অনুমোদন দেয় এডিবি। এরপর ১ এপ্রিল স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে ১৩ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা অনুমোদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় এডিবির আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আকার ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশ এডিবির এই কোভিড-১৯ প্যাকেজ থেকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা চেয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এমআইএস/এএ