মঙ্গলবার (১২ মে) সচল রয়েছে ৪৫৯টি কারখানা। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২৩৫টি কারখানার মধ্যে চালু হয়েছে ৩২টি, বিকেএমইএর ৭৯২টি কারখানার মধ্যে ১৯৯টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮টি কারখানার মধ্যে ৩১টি ও বিটিএমএর ১৭২টির মধ্যে ২১টি চালু ছিল।
এসব কারখানায় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত থাকলেও বাইরে তা সম্ভব হচ্ছে না। এরমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ইতোমধ্যেই যোগদান করে কাজ করছেন। করোনার এসময়ে শারীরিক দূরত্ব মেনেই কারখানাগুলো সচল করা হয়েছে বলে মালিকপক্ষরা জানিয়েছে।
অবশ্য প্রতিটি কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল বলে মালিকপক্ষের দাবি। কারখানাগুলোর মালিকরাও পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি ছিল শিল্প পুলিশের দিকনির্দেশনা ও মাইকিং। তারা কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের সচেতন করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখতে বলেন। তবে কারখানার বাইরে তাদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা একেবারেই কম বলেও স্বীকার করে শিল্প পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার খোলা আছে ৪৫৯টি কারখানা। এরমধ্যে কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ এখন পর্যন্ত নেই। শ্রমিকদের আক্রান্ত হবার তথ্যও পাইনি। আমরা চেষ্টা করছি যেন অর্থনীতিটা সচল রাখা যায়। ঈদের আগে যেন শ্রমিকরা তাদের বেতন-বোনাস ঠিকমতো পান। তাদের শারীরিক দূরত্বটা নিশ্চিত করতেও আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। তবে মালিকপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা কারখানায় শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
আরবি/