ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে জমেনি বেচাকেনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে জমেনি বেচাকেনা

ঢাকা: সরকারি নির্দেশনা মেনে রাজধানীতে সীমিত পরিসরে গত ১০ মে থেকে বিপণিবিতানগুলো খুলেছে। বিপণিবিতান খোলার তিনদিন অতিবাহিত হলেও বেচাকেনা জমেনি। দর্শনার্থী এলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ১৮ রমজান চললেও বেচাকেনায় ছন্দ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১২ মে) রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, সানারপাড়, মিরপুর-১, ২, ১০, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গত ১০ মে থেকে মার্কেট খুলেছি।

আজ তিনদিন চললেও বেচাকেনা জমেনি। মার্কেটে দর্শনার্থী এলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। দিন শেষে বেচাকেনা হতাশ করছে আমাদের। অনেক দোকানদার দিনে সাইদও করতে পারছেন না।  

এ ব্যাপারে মিরপুরের শেওড়াপাড়ার মামুন টাওয়ারের সানজিদা বস্ত্র বিতানের মালিক সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তিনদিন ধরে দোকান খুলছি। বেচাবিক্রি আমাদেরকে হতাশ করছে।  

তিনি বলেন, এ মার্কেটে অনেক দোকানদার দিন শেষে শূন্য হাতে ঘরে ফিরছেন। অবস্থার উন্নতি না হলে আমরা কী করবো সেটি বুঝতে পারছি না।

সকাল থেকে শো-রুম খুলে বসে আছি ক্রেতার দেখা নেই। সোমবার (১১ মে) বিকেলের দিকে কিছু বেচাকেনা হলেও মঙ্গলবার একেবারেই নেই বলে জানালেন অনন্যা ফ্যাশনের ফাহমিদা আফরোজ।  

তিনি বলেন, বেলা আড়াইটা বাজে আর মাত্র দেড় ঘণ্টা দোকান খোলা রাখা যাবে। এসময়ের মধ্যে জানিনা বউনি হবে কিনা। না হলে শূন্য হাতেই বাড়ি ফিরতে হবে।

..গত দুইদিনের চেয়ে মঙ্গলবার কিছুটা বেচাকেনা বেড়েছে। তবে আশানুরূপ নয় বলে জানালেন গুলিস্তানের রকমারি ফ্যাশনের মান্নান। তিনি বলেন, আশা রাখছি সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে। তবে এটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।

রাজধানীর প্রতিটি মার্কেটের প্রবেশ মুখেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক দোকানিই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রেখেছেন। কাস্টমার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে উৎসাহিত করছেন বিক্রেতারা। এছাড়া ক্রেতারা মার্কেটের প্রবেশ মুখ থেকেই হাত পরিষ্কার করেই মার্কেটে প্রবেশ করছেন। দোকানগুলোর ভেতরেও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বার বার বলে সতর্ক করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার, আমরা সেটি মেনে চলবো। ক্রেতা সাধারণকেও সেটি মেনে চলার অনুরোধ জানাবো।

এদিকে সরকার অনুমতি দিলেও শপিংমল থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমল ও যমুনা ফিউচার পার্ক খুলেনি। একইসঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ শপিংমল বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের বাজার করার জন্য শপিংমলে ভিড় বাড়বে। আর এ ভিড় থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

গত ৪ মে সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের দোকানপাট, শপিংমলগুলো আগামী ১০ মে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এর আগে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা ছিল। পরের নির্দেশনায় এক ঘণ্টা কমানো হয়েছে।  

সেক্ষেত্রে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা প্রয়োগ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।

বড় শপিংমলের প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এসএমএকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।