চলতি ২০১৯০-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১২ হাজার ২২৪ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে নতুন এডিপিতে। নতুন এডিপিতে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি বরাদ্দ রাখা হলো।
মঙ্গলবার (১২ মে) কমিশনের বর্ধিত সভায় নতুন এ এডিপির খসড়া উত্থাপন করা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
মন্ত্রণালয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাতে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। তবে আবারও বলছি এটা খসড়া, চূড়ান্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেন। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই উন্নয়ন বাজেটের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
এতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকছে পরিবহনখাতে প্রায় ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, টাকার হিসাবে ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভৌত অবকাঠামো খাতে ২৫ হাকার ৭৯৫ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎখাতে ২৪ হাজার ৮০৪ ও চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষাখাতে ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে ১৮ হাজার ৪৫৮, পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৫ হাজাট ৫৫৫, স্বাস্থ্যখাতে ১৩ হাজার ৩৩, কৃষিখাতে ৮ হাজার ৩৮২, পানিসম্পদ খাতে ৫ হাজার ৫২৭ ও জনপ্রশাসন খাতে ৪ হাজার ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কমছে উন্নয়ন প্রকল্প। বরাদ্দসহ অনুমোদিত প্রকল্প যুক্ত হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৮টি (স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ছাড়া)। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৪৪টি। ফলে নতুন অর্থবছরে কমছে ১৫৬টি উন্নয়ন প্রকল্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এমআইএস/এএ