বিপদগ্রস্ত ও সহায়হীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে বিএসআরএম ব্যবসার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই মনে করে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের আইন প্রয়োগকারী বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগেও সাহায্য করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে একটি বড় অঙ্কের অনুদান হস্তান্তর করে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুদানটি গ্রহণ করেন। এছাড়াও বিএসআরএমের কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন সংগ্রহ করে ২৫শ দুস্থ ও বিপদগ্রস্ত পরিবারের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ মর্মে গত ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের কাছে খাদ্য সহায়তাটি হস্তান্তর করা হয়।
একই দিনে আরও কিছু পরিবারের সাহায্যার্থে অপর আরেকটি অনুদানের চেক জেলা কমিশনার কার্যালয়ে এস এম রাশেদুল হক (পিপিএম) এসপি, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) শ্যামল কুমার নাথসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএসআরএম কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অপর আরেকটি চেক হস্তান্তর করা হয় চট্টগ্রাম জেলা কমিশনার কার্যালয়ে এবং সেটি গ্রহণ করেন মোহাম্মদ কামাল হোসেন, এডিসি (জেনারেল), ডিসি কার্যালয়, চট্টগ্রাম।
পরদিকে আরেকটি অনুদানের চেক চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কার্যালয়ে এসএম রাশেদুল হক, এসপি, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে উন্নতমানের পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছেও উন্নতমানের পিপিই সরঞ্জাম হস্তান্তর করে বিএসআরএম। পরবর্তীতে তা বিআইটিডি ফৌজদারহাট, জেনারেল হাসপাতাল চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি দেশব্যাপী এই প্রতিষ্ঠানের পার্টনাররা তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলার কর্মহীন দিনমজুরদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।
দীর্ঘ লকডাউনে দেশের খেটে খাওয়া দিনমজুররা না খেয়ে দিনযাপন করছেন। বিএসআরএম এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কিছুটা হলেও তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের মৌলিক চাহিদাটুকু মেটানো।
বিএসআরএম বিশ্বাস করে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সবার সম্বিলিত প্রচেষ্টাই জাতিকে নিরাপত্তার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সর্বোপরি করোনা মোকাবিলায় সবাইকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশ যথাযথ মেনে চলতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে অনুরোধ জানায় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এএটি