করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে সাড়ে তিন হাজার ডাক্তার ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কভিড-১৯ বিষয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি যেসব হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হবে।
বুধবার (১৩ মে) ঢাকায় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন। এডিবির পরিচালনা পর্ষদ গত এপ্রিল মাসে এ সহায়তা অনুমোদন করে।
মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘এডিবি বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। আমরা এ বিপর্যয় মহামারি পরিচালনায় সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছি। কভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ দারুণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ঋণ স্বল্প ও মাঝারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে। সরকার বাস্তববাদী নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বাড়ানো ও সংস্কারের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী। ’
এ প্রকল্পের আওতায় জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি, চিকিৎসা, ডায়াগনস্টিক সিস্টেম সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা উন্নতকরণে ঋণ ব্যবহার করা হবে। ফলে অবিলম্বে সরঞ্জাম সরবরাহে সহায়তা, চিকিৎসা অবকাঠামোগত উন্নতি, নজরদারি, প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সক্ষম হবে। কমপক্ষে ১৯টি পরীক্ষাগারের সক্ষমতা ও গুণমানকে উন্নত করবে। মাইক্রোবায়োলজিকাল ডায়াগনস্টিক সুবিধা দিয়ে আপগ্রেড করা হবে। স্বাস্থ্যখাতের কমপক্ষে সাড়ে তিন হাজার জনকে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে, যার ৫০ শতাংশই নারী। আধুনিক দক্ষতা ও জ্ঞানের প্রশিক্ষণ পাবেন সংশ্লিষ্টরা। আরও স্বাস্থ্য পেশাদার এবং প্রযুক্তিগত কর্মী নিয়োগকে সমর্থন দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে এডিবি। ‘কভিড-১৯ প্রতিরোধে জরুরি সাড়া’ প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ এবং আইসোলেশন ইউনিটের উন্নয়নসহ কিছু জরুরি কেনাকাটায় ব্যবহার করা হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ২৭ মার্চ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী কিনতে বাংলাদেশকে ৩ লাখ ডলার অনুদান অনুমোদন দেয় এডিবি। এরপর ১ এপ্রিল স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে ১৩ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা অনুমোদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাস মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় এডিবির আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আকার ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশ এডিবির এ কভিড-১৯ প্যাকেজ থেকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা চেয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এমআইএস/এফএম