এসব প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে মুদ্রাবাজারে তারল্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুতর করার লক্ষ্যে ৩৬০ দিন মেয়াদি বিশেষ রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) প্রচলন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে থেকে চালু রয়েছে ১ দিন, ১৪ দিন ও ২৮ দিন মেয়াদি রেপো।
বুধবার (১৩ মে) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে।
বিদ্যমান রেপো হারকে ভিত্তি ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতি ও মুদ্রা বাজারের তারল্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিশেষ রেপোর (পুনঃক্রয় চুক্তি) সুদের হার ও পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের অকশন কমিটির মাধ্যমে প্রতি অকশনে নির্ধারিত হবে। অকশনে অকশন কমিটির সিদ্ধান্তই গণ্য হবে চূড়ান্ত বলে।
‘অংশগ্রহণকারী তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার ধারণ করা এসএলআর এর অতিরিক্ত সরকারি সিকিউরিটিজ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জামানত রেখে এ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে। উক্ত রেপো লেনদেন এতদ্সংক্রান্ত নিয়মাচার পরিপালন সাপেক্ষে কোলাটেলারাইজড রেপো লেনদেন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ’
আরো জানানো হয়, ট্রেজারি বিল ও বন্ডের অভিহিত মূল্যের উপর যথাক্রমে ১৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ মার্জিন প্রয়োগ করে অভিহিত মূল্যের অবশিষ্ট অর্থ রেপো হিসেবে দেওয়া হবে। এরূপ রেপোর বিপরীতে বন্ধকী করা সম্পূর্ণ সিকিউরিটিজ (বাজারমূল্য/অভিহিত মূল্য অনুসারে) দায়যুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এই সিকিউরিটিজ অন্য কোনো ক্ষেত্রের জন্য জামানত বা সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
এ রেপোর মাধ্যমে গৃহীত অর্থ সম্প্রতি ঘোষিত বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে বিনিয়োগ করতে হবে। এ অর্থ বিনিয়োগপূর্বক খাতগুলো উল্লেখ করে মাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টকে অবহিত করতে হবে। এ রেপোর মাধ্যমে গৃহীত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি সিকিউরিটিজ ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিলে বিনিয়োগ করা যাবে না।
প্রচলিত নিয়মানুসারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকে বিড দাখিল করবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এসই/এএ