বৃহস্পতিবার (১৪ মে) পর্যন্ত সচল রয়েছে ৫২৮টি শিল্প কারখানা। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২৩৫ কারখানার মধ্যে চালু হয়েছে ৩৬টি, বিকেএমইএর ৭৯২ কারখানার মধ্যে ২০৫টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮ কারখানার মধ্যে ৩১টি ও বিটিএমএর ১৭২টির মধ্যে ৩১টি চালু রয়েছে।
অবশ্য প্রতিটি কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে বলে মালিকপক্ষের দাবি।
কারখানাগুলোর মালিকরাও পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি রয়েছে শিল্প পুলিশের দিক নির্দেশনা ও মাইকিং। তারা কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের সচেতন করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখতে বলেন। তবে কারখানার বাইরে তাদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা একেবারেই কম বলেও স্বীকার করে শিল্প পুলিশ।
এসব কারখানায় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত থাকলেও বাইরে তা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ইতোমধ্যেই যোগদান করে কাজ করছেন। করোনার এই সময়ে শারীরিক দূরত্ব মেনেই কারখানাগুলো সচল করা হয়েছে বলে মালিকপক্ষরা জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ জানান, আজ খোলা আছে ৫২৮টি কারখানা। এর মধ্যে কোনো কারখানায় শ্রমিক আক্রান্ত কিংবা অসন্তোষের এমন সংবাদ পাইনি। আমরা চেষ্টা করছি যেন অর্থনীতিটা সচল রাখা যায়, ঈদের আগে শ্রমিকরা তাদের বেতন বোনাস ঠিকমতো পান। তাদের শারীরিক দূরত্বটা নিশ্চিত করতেও আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। মালিকপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা কারখানায় শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এইচএডি