শুক্রবার (১৫ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ ও খিলগাঁও এলাকায় কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, কচুরলতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধুন্দল-ঝিঙা ৪০ টাকা, বেগুন (প্রকারভেদে) ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৮০ টাকা, পুদিনা পাতা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিদরে।
প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিপিস বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি (সবুজ) ৫০ টাকা, প্রতিহালি কলা ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর প্রতিহালি ছোট লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় সাইজের লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিআটি (মোড়া) কচুশাক ৭ থেকে ১০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা, মূলারশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়াশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গরু ও খাসির মাংসের দাম না বাড়লেও বেড়েছে মুরগির দাম। এসব বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, মহিশের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজিদরে।
কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লেয়ার ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা।
প্রতিডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, ডজনে ১০ টাকা কমে দেশি মুরগির ডিম ১৪০ টাকা, সোনালি মুরগির ডিমি ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১১০ থেকে ১২০ টাকা, কোয়েলের ডিম প্রতি ১০০ পিস ১৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে বড় মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে ছোট মাছের দাম। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, মলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫৫০ টাকা। প্রতিকেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, হরিণা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিদরে।
এসব বাজারে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিদরে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে।
বাজারে খোলা সয়াবিন (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার। অপরিবর্তিত আছে সরিষার তেল। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে চালের বাজারে। বর্তমানে দাম কমে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা, মিনিকেট পুরান ৬০ টাকা, বাসমতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা, এক সিদ্দ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাওর বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিদরে।
বাজারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডালের দাম। কেজিতে ৫ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাংকর ৫০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা।
হেনা নামে খিলগাঁও মৈত্রী মাঠ কাঁচা বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এখন সবজিসহ অন্য পণ্যের দাম কমায় ভালো লাগছে। তবে ক্রেতার আয় কমায় অনেকে মুরগির ওপর ভরসা রাখে। কিন্তু হঠাৎ করে মুরগির দাম চড়া মানা যায় না। চাহিদা বাড়লেই দাম বাড়ানো এখন ব্যবসায়ীদের প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বোরহান নামে এ বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে এখন জিনিসপত্রের সরবরাহ কম। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে আমরা বেশি দামে এনে বাড়তি দামে বিক্রি করছি। ওখানে দাম কমলে খুচরায় দাম কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
ইএআর/আরবি/