৮৫টি শিল্প কারখানার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২৩৫টি কারখানার মধ্যে ৮টি, বিকেএমইএর ৭৯২টি কারখানার মধ্যে ১২টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮টি কারখানার মধ্যে ১৪টি ও বিটিএমএর ১৭২টির মধ্যে ৬টি চালু ছিল। অন্য আরও ৪৫টি কারখানা এদিন খোলা ছিল।
বিশেষ প্রয়োজনে ও শিপমেন্টের চাপ থাকায় খোলা হলেও প্রতিটি কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল বলে মালিকপক্ষের দাবি। শিল্প পুলিশ কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের সচেতন করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখতে অনুরোধ করেছেন। তবে কারখানার বাইরে তাদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা একেবারেই কম বলেও স্বীকার করে শিল্প পুলিশ।
এসব কারখানায় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত থাকলেও বাইরে তা সম্ভব হচ্ছে না। এরমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ইতোমধ্যেই যোগদান করে কাজ করছেন। করোনার এসময়ে শারীরিক দূরত্ব মেনেই কারখানাগুলো সচল করা হয়েছে বলে মালিকপক্ষরা জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ জানান, ছুটির দিন হলেও বিশেষ প্রয়োজনে অর্ডার থাকায় ৮৫টি কারখানা খোলা ছিল। এরমধ্যে কোনো কারখানায় শ্রমিক আক্রান্ত কিংবা অসন্তোষ হয়েছে এমন খবর পাইনি। আমরা চেষ্টা করছি যেন অর্থনীতিটা সচল রাখা যায়। ঈদের আগে শ্রমিকরা তাদের বেতন-বোনাস ঠিকমতো পান। তাদের শারীরিক দূরত্বটা নিশ্চিত করতেও আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। তবে মালিকপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা কারখানায় শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
আরবি/