শনিবার (১৬ মে) সচল রয়েছে ৫০২টি শিল্প-কারখানা। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২৩৫ কারখানার মধ্যে চালু হয়েছে ৩৮টি, বিকেএমইএর ৭৯২ কারখানার মধ্যে ৩০৬টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮ কারখানার মধ্যে ৩১টি ও বিটিএমএর ১৭২টির মধ্যে ১৮টি চালু ছিল।
অবশ্য প্রতিটি কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল বলে মালিকপক্ষের দাবি। কারখানাগুলোর মালিকরাও পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি ছিল শিল্প পুলিশের দিক-নির্দেশনা। তারা কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের সচেতন করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখতে বলেন। তবে কারখানার বাইরে তাদের মধ্যে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা একেবারেই কম বলেও স্বীকার করে শিল্প পুলিশ।
এসব কারখানায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত থাকলেও বাইরে তা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ইতোমধ্যেই যোগদান করে কাজ করছেন। করোনার এই সময়ে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনেই কারখানাগুলো সচল করা হয়েছে বলে মালিকপক্ষরা জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ জানান, আজ খোলা আছে ৫০২টি কারখানা। এর মধ্যে কোনো কারখানায় শ্রমিক আক্রান্ত কিংবা অসন্তোষ হয়েছে এমন সংবাদ পাইনি। আমরা চেষ্টা করছি যেন অর্থনীতিটা সচল রাখা যায়, ঈদের আগে শ্রমিকরা তাদের বেতন বোনাস ঠিকমত পান। তাদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্বটা নিশ্চিত করতেও আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। তবে মালিকপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা কারখানায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
এএটি