করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের চলমান কর্মকাণ্ডকে সহযোগিতার লক্ষ্যে কোকা-কোলা বাংলাদেশ ঘোষিত ১১.৫ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঈদের আগে চার দিনব্যাপী পরিচালিত এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম আগামী ২৩শে মে পর্যন্ত চলবে।
ঢাকায় ইতোমধ্যেই এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (২০ মে) প্রথম দিনে ১ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের প্রায় ৪ হাজার মানুষকে এক মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নারী ও কিশোরী মেয়েদের জন্য স্যানিটারী ন্যাপকিনসহ পুরো পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তাদের মাঝে ফেস মাস্ক, সাবান, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সামগ্রী সম্বলিত ‘ডিগনিটি কিটস’ ও বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ বলেন, মহামারির এই সময়ে যে কোনো ভালো উদ্যোগ সমাজের অন্যান্যদেরকেও উৎসাহিত করে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবতার এই লড়াইয়ে আমি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রবোধ দেবকোটা বলেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তার জন্য আমি কোকা-কোলা এবং আমাদের স্থানীয় পার্টনার স্যোশাল অ্যান্ড ইকোনমিক ইনহান্সমেন্ট প্রোগ্রাম (সিপ) ও ঢাকা আহসানিয়া মিশনকে ধন্যবাদ জানাই। স্থানীয় পার্টনারদের সহায়তায় বর্তমানে ২৭টিরও বেশি জেলায় এই সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কেয়ার বাংলাদেশ। এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমরা ১১,৩৭,১৬২ জন মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং আমরা সরকারি উদ্যোগগুলোর সাথেও নিবিড়ভাবে সমন্বয় করছি।
তিনি বলেন কোকা-কোলার সাথে এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে দুর্বল ও দারিদ্র্যক্লিষ্ট মানুষদের খাবারসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সাহায্য করাই আমাদের লক্ষ্য।
ত্রাণ কার্যক্রম সম্পর্কে কোকা-কোলা বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় বাতিজা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বকেই অভূতপূর্বভাবে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশে আমরা সমাজের সেবায় নিয়োজিত আছি এবং যেভাবে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই), যেমন- এন-৯৫ ফেস মাস্ক, হ্যান্ড গ্লভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণও বিতরণ করবে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। এছাড়া করোনার বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন, সেই সব ডাক্তার-নার্স-পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পানীয় চাহিদা পূরণে নিজস্ব পণ্য বিনামূল্যে সরবরাহ করছে কোকা-কোলা।
গৃহিত এসব উদ্যোগ করোনা মোকাবেলায় কোকা-কোলা বাংলাদেশের বৃহত্তর প্রতিশ্রুতিরই অংশ। এর মাধ্যমে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখাই কোকা-কোলা বাংলাদেশের লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
এমকেআর