সরকারিভাবে মসলার দাম নির্ধারণের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। এদিকে মুরগি-মসলার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে শাক-সবজি, মাছ, গরু মাংস ও ডিমের দাম।
শুক্রবার (২২ মে) রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁও এলাকায় কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৪০ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধুন্দল-ঝিঙা ৪০ টাকা, বেগুন (প্রকারভেদে) ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ২০ থেকে ৩০ টাকা, ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পুদিনা পাতা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।
প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি (চাল কুমড়া) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধা কপি (সবুজ) ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এছাড়া প্রতিহালি কাঁচাকলা (আকার ভেদে) ২০ থেকে ৩০, প্রতিহালি ছোট লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় সাইজের লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি আটি (মোড়া) কচু শাক ৭ থেকে ১০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, পুঁই শাক ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
গরু-খাসির মাংসের দাম না বাড়লেও বাড়তি রয়েছে মুরগির বাজার। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে, প্রতিকেজি লেয়ার ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে।
প্রতিডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, দেশি মুরগি ১৪০ টাকা, সোনালি মুরগির ডিমি বিক্রি হচ্ছে ১২০, হাঁস ১১০ থেকে ১২০ টাকা, কোয়েল ১০০ পিস ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুরগির বাজার চড়া হলেও অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। এসব বাজারে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে, মলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫৫০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া প্রতিকেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, হরিণা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
প্রতি এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে মশলার বাজার ঘুরে দেখা যায়-পাইকারি বাজারে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৪৫ টাকা, দারুচিনি (চায়না) ৩১০ থেকে ৩১৫ টাকা, ভিয়েতনাম ৩৬০ থেকে ৩৬৫ টাকা, লবঙ্গ ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, এলাচ ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা।
মসলাভেদে খুচরা-পাইকারি ব্যবধান ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর এলাকায় এদিন প্রতিকেজি জিরা মানভেদে (খুচরা) ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, লবঙ্গ ৯৫০ থেকে ১১৫০ টাকা, এলাচ ৩৬০০ থেকে ৪২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
দাম বেড়েছে রসুন ও পেঁয়াজের। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। আর অপরিবর্তিত আছে আদার বাজার। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বাজারে খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার। অপরিবর্তিত আছে সরিষার তেল। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
এসব বাজারে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে চালের দাম। বর্তমানে দাম কমে প্রতি কেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৬০ টাকা, বাসমতী ৬০ থেকে ৬২ টাকা, প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা, এক সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিদরে।
বাজারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডালের দাম। কেজিতে ৫ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি ডাবলী ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, এংকর ৫০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা।
সেলিনা নামে মালিবাগ কাঁচাবাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে মসলার দাম। পেঁয়াজ-রসুনের দামও বাড়তি এখন। ঈদের আগে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়তি রাখেন। নতুন করে মুরগির দাম বাড়তি রয়েছে যা বর্তমান পরিবেশে কাম্য না।
মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, মসলার দাম পাইকার বাজারে কিছুটা কমেছে বলে শুনেছি তবে আমরা আগের রেটে কেনা মাল বিক্রি করছি। নতুন মাল এখনও খুচরা বাজারে আসেনি, এলে দাম কমে আসবে। আর দাম কমলে তো সব জায়গাতেই কমবে, আমরাতো খুব বেশি লাভ করিনা।
বোরহান নামে এ বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে এখন মালের সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে আমার বেশি দামে এনে বাড়তি দামে বিক্রি করছি। ওখানে দাম কমলে খুচরায় দাম কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
ইএআর/আরএ