রোববার (২৪ মে) রাজধানীর মিরপুর-১, ২, ১০, ১১, ১৩, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া এলাকা ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিবছর নতুন জামার সঙ্গে জুতার চাহিদা থাকে।
এ ব্যাপারে মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের অনু সুজের মালিক খোকন দাস বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর এসময়ে জুতা বিক্রি করে দম ফেলতে পারি না। দোকানে আমরা পাঁচজন লোক বসে রয়েছি কোনো কাস্টমার নেই। যাও দুই-একজন আসছেন দেখে চলে যাচ্ছেন কিনছেন না। আর মাত্র দুই ঘণ্টা দোকান খোলা এরমধ্যে আর কী বা বেচাকেনা হবে বুঝতে পারছি না। দোকানের কর্মচারীদের কীভাবে বেতন দিয়ে বিদায় করবো মাথায় কাজ করছে না। একইসঙ্গে কারখানা ভাড়াও দিতে হবে। সব মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছি।
অন্য বছরের তুলনায় ১০ শতাংশও জুতা বিক্রি করতে পারেননি বলে জানালেন পথ শোভা জে সুজের মালিক মো. জাবেদ হাসান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বেচাবিক্রি একেবারেই নেই। গত কয়েকদিনে যে বেচাবিক্রি হয়েছে এতে দোকান ভাড়াও উঠবে না। এবারের বেচাবিক্রি আমাদের আশাহত করেছে।
‘প্রতিবছরই চাঁদরাতে পাইকারদের টাকা পরিশোধ করতে হয়। সারা বছর তাদের কাছ থেকে কম-বেশি মালামাল বাকিতে নিয়ে আসি। কিন্তু এ বছর কীভাবে তাদের টাকা পরিশোধ করবো বুঝতে পারছি না। শুধু তাই নয়, যারা এ বছর ঈদে দু’টি অর্ডার দিয়েছিলেন সেগুলোও ডেলিভারি হচ্ছে না। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। ’
এদিকে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ১০ মে থেকে মার্কেট খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটে দর্শনার্থী এলেও ক্রেতা অনেক কম। দিন শেষে বেচাকেনা হতাশ করছে তাদের। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা মার্কেটমুখী হচ্ছেন না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
এসএমএকে/আরবি/