তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ ও পাট শিল্পের সম্প্রসারণে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারে তৎপর থাকবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
রোববার (৩১ মে) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে করোনা ভাইরাস জনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থাসমূহের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বাড়াতে ও পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নে কাজ করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাট চাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষিদের প্রশিক্ষিত করা ও সার্বিকভাবে গুণগত মানসম্মত পাট এবং পাট বীজ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের ৩৯০ মেট্রিক টন পাট বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সবধরনের সহায়তা অব্যহত রয়েছে।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প খাতকে আরও শক্তিশালী, নিরাপদ ও প্রতিযোগিতাসক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। বস্ত্রখাতের ‘পোষক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে বস্ত্র অধিদপ্তর তথা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
সভায় জানানো হয়, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে তাঁতীদের সম্ভাব্য ক্ষতির মূল্যায়ণ ও এ ক্ষতি উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় তাঁতীদের শতকরা পাঁচ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার লক্ষে ৩০০ ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতীদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক তাঁতীদের ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক করোনা প্রাদুর্ভাবের সংকট মোকাবিলায় জরুরি কৃষিসেবা (বিএডিসি এবং খাদ্য অধিদপ্তর সরকার ঘোষিত জরুরি কৃষিসেবার আওতাধীন) নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাটের বস্তা সরবরাহ নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিলের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৭৯ কোটি ১৩ লাখ ডলার আয় করেছে। এ অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। আর এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিলো পাট খাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস/