করোনার কারণে দীর্ঘ ২ মাস ৭ দিন বন্ধ থাকার পর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোনামসজিদ কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার মো. সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, ২৫ মার্চ সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি।
এদিকে সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম জানান, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দর চালুর জন্য গত ১৫ এপ্রিল থেকেই প্রস্তুত আছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পণ্য দিলে পানামা কর্তৃপক্ষ করোনার সর্ব্বোচ্চ সর্তকর্তা বজায় রেখে বন্দর পরিচালনা করবে।
৩১ মে রাতে ভারতীয় রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফজলুল হক সই করা এক চিঠিতে ১ জুন থেকে বাংলাদেশে এ বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির আগ্রহ দেখানো হয়। যার অনুলিপি মালদা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কাছে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ভারতের মহদীপুর সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট সাধারণ সম্পাদক ভূপতি জানান, গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির শুরুর অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দেওয়ার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুমতি চাইতে গেলে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় অনুমতি মেলেনি। তবে এবার মঙ্গলবার থেকে তারা বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জানা যায়, ২৫ মার্চ লকডাউনের পর ১৫ এপ্রিল সরকার বন্দরের কার্যক্রম সীমিত আকারে চালুর ঘোষণার সময় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে গিয়ে মালদা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি না পাওয়ায় আমদানি-রপ্তানি শুরু করতে পারেনি। এতে করে ভারতের মহদীপুর স্থলবন্দরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকে পড়ে পেঁয়াজসহ সাড়ে ৩ হাজার ট্রাক। পরে ৩১ মে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আবারো পণ্য রপ্তানির আগ্রহ দেখিয়ে বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনকে একটি চিঠি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
আরএ