শুক্রবার (৫ জুন) রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁও এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব এলাকার বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে সবজির দাম।
পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা- ধুন্দল-ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পুদিনা পাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে।
এসব বাজারে প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি (চাল কুমড়া) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি (গ্রিন) ৫০ টাকায়।
এছাড়া প্রতিহালি কলা (আকার ভেদে) ২০ থেকে ৩০ টাকা, প্রতিহালি ছোট লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় সাইজের লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে শাকের বাজারে। প্রতিআঁটিতে (মোড়া) দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতিআঁটি (মোড়া) কচুরশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, লালশাক ১০ থেকে ১২ টাকা, মুলাশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ২৫ থেকে ৪০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, মহিশের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজিদরে।
গরু-খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে মুরগির বাজার। কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিদরে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি লেয়ার ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ টাকা কেজিদরে। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিদরে।
বেড়েছে ডিমের দাম। ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ডিমের বাজারে। প্রতিডজন লাল ডিম (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা, কোয়েল পাখির ডিম প্রতি ১০০ পিস ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। এসব বাজারে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি ৫৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, দেশি টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, হরিণা ৩৫০ থেকে ৫৪০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২২০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা। ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আদা (মানভেদে) ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে।
বাজারে খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার, খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা, মিনিকেট পুরান ৬০ টাকা, বাসমতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, আটাশ চাল ৪৪ টাকা, এক সিদ্ধ ৪০ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, পোলাওর চাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাংকর ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজিদরে।
পেঁপে-টমেটোর দাম যেন আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। অন্য সবজির দামও বেশি রাখা হচ্ছে যা কোনো যুক্তি হতে পারে না। ক্রেতার পকেট কাটা হচ্ছে।
তবে এ ক্রেতার সঙ্গে একমত নন এ বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে টমেটো ও পেঁপের সিজন না হওয়ায় সেগুলোর বাড়তি দাম। তাছাড়া সবজির দাম আমদানির ওপর নির্ভর করে। বাজারে জিনিসপত্র বেশি হলে দাম কমে, জিনিসপত্র সংকট হলে দাম বেড়ে যায়।
বোরহান নামে খিলগাঁও বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে পাইকারি বাজারে মুরগির সংকট থাকায় দাম বেশি ছিল। পাইকারি বাজারে এখন সরবরাহ বেড়েছে তাই দাম কমেছে। পাইকারি বাজার থেকে আমরা কম দামে এনে কম দামেই বিক্রি করছি। ওখানে দাম কমলে খুচরায় দাম কমে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
ইএআর/আরবি/