জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া এক আবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী রপ্তানির বাজার বড় করার জন্য নতুন নতুন পণ্যের অবাধ বাজার সৃষ্টি করার ওপর জোর দিয়েছেন। বর্তমান বিশ্বে পেপার কাপ পণ্যের বাজার প্রায় ২৮০ বিলিয়ম মার্কিন ডলারের।
তাই এই শিল্পকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। এজন্য কাপ-প্লেট পণ্যের কাঁচামাল আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা আবশ্যক। একই সঙ্গে দেশীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে আমদানিকৃত পেপারকাপ প্লেটের দাম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতি কেজি পেপার কাপ-প্লেটের আমদানী মূল্য ১ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিকেজির দাম ৩ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার এবং সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি ১৫ শতাংশ করারদাবি জানানো হয়েছে।
কাগজের তৈরি কাপ বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বান্ধর এবং স্বাস্থ্যসম্মত পণ্যহিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। যা চা, কফি, কোমল পানীয়, আইসক্রিম ইত্যাদি পরিবেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব পণ্যের কাঁচামাল ভার্জিন উডপাল। প মন্ড থেকে কেমিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়। যা একটি পণ্যকে সম্পূর্ণ রুপে ফুড গ্রেড রাখার পদ্ধতি এবং পণ্যটি ব্যবহারের পরে মাটিতে পুতে ফেললে অতি দ্রুত মাটির সঙ্গে মিশে জৈব সারে পরিণত হয়।
পণ্যটি সরাসরি খাদ্যের সংস্পর্শে আসে এবং খাদ্যের পাত্র হিসেবে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই পণ্যটি পুনরায় ব্যবহার করা এমন কাগজ দিয়ে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। নতুন এই সম্ভাবনাময় পণ্যের বাজারকে সমৃদ্ধ করার মাধমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি কাজী সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম উজ্জল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২০
এসই/এনটি