মঙ্গলবার (৯ জুন) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) একটি চিঠিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমানোর প্রস্তাব দেয়।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘করোনা ভাইরাস মহামারিতে বর্তমানে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমানোর জন্য বিইআরসির কাছে ক্যাবের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো: সব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাদ দিয়ে এবং ২০ বছরের বেশি বয়সী সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে উৎপাদনের বাইরে রেখে উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণক্রমে বিদ্যুতের মূল্যহার কমানো। বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও গ্যাস উন্নয়ন উভয় তহবিলের অর্থ সুদে বিনিয়োগের পরিবর্তে যথাক্রমে পিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বাপেক্সের গ্যাস অনুসন্ধানে অনুদান হিসেবে বিনিয়োগক্রমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার কমানো। বিদ্যুৎ/গ্যাস সরবরাহে অযৌক্তিকভাবে সম্পদ অর্জন রোধ করে ও সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানো।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার মূল্যহার কমিয়ে যৌক্তিক করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করা। ব্যক্তিখাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেনা রহিত করে এবং সরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির মূল্যহারে তেল আমদানি ব্যয় হ্রাসে সমন্বয় করা। মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক করার লক্ষ্যে বিইআরসি আইন মতে বিইআরসি থেকে এলপিজি ও জ্বালানি তেলের মূল্যহার নির্ধারণ করা। বিগত গণশুনানিতে বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে চিহ্নিত অযৌক্তিক ব্যয়গুলো যৌক্তিক করে মূল্যহার কমানো।
অর্থনীতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানোর লক্ষ্যে এ খাতে সরকারি কোম্পানিগুলো কস্ট প্লাস নয়, শুধু কস্টভিত্তিতে পরিচালিত করা এবং সেই সঙ্গে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি ইত্যাদি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনা৷ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মজুদ অর্থ ও ভোক্তার জামানতের অর্থ এ খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ করে ব্যাংকঋণ নির্ভরতা কমিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানো৷ বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে অর্জিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অংশীজন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে গ্যাস অনুসন্ধান এবং বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সামর্থ্য বাড়ানোর যথার্থতা নিরূপণ করে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন।
এছাড়া, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে অপর একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব অনুরূপ কমিটিকে দেওয়া। কমিটি প্রণীত কৌশলগত পরিকল্পনা বিইআরসির অনুমোদনক্রমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতভুক্ত সব ইউটিলিটি ও সংস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সরবরাহ ব্যয় ন্যায্য ও যৌক্তিককরণের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন এবং বিগত অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব মতে ডিপিএমের পরিবর্তে ওটিএমের মাধ্যমে এ খাতে সব ক্রয় নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
জিসিজি/এফএম