বুধবার (১০ জুন) সকাল থেকে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করা হলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায় বুড়িমারী ও চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর।
এর আগে, সোমবার (৮ জুন) দিনব্যাপী বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকার শুন্যরেখায় উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক শেষে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেন উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও সরকারি প্রতিনিধিরা।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল
জানান, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ সিদ্ধান্তে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। এতে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ হয়ে পড়ে ত্রি-দেশিয় বাণিজ্য কেন্দ্র খ্যাত ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ও বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম। ফলে ঝিমিয়ে পড়ে এ স্থলবন্দর। অর্থনীতিতে মন্দাভাব দেখা দেয়। বেকার হয়ে পড়েন হাজার হাজার শ্রমিক।
অবশেষে সোমবার (০৮ জুন) দিনভর বুড়িমারী স্থলবন্দরের শুন্যরেখায় বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) উপস্থিতিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দীর্ঘ আলোচনা শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বন্দরের সব কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেব বুধবার (১০ জুন) বন্দরের সব কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাকবে। এতে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে। পূর্বের কর্মচাঞ্চল্যে ফিরেছে বুড়িমারী স্থলবন্দর। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
এনটি