ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষিখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
কৃষিখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

ঢাকা: করোনা ভাইরাস কৃষিখাতকেও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলছে। ফলে কৃষকদের টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষককে টিকিয়ে রাখতে কৃষিখাতে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে দুই হাজার ৯৬০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, করোনা উত্তর বিশ্বে দুর্ভিক্ষের যে পূর্বাভাস রয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাসহ কৃষিখাতের সঙ্গে জড়িত কৃষক, কৃষি শ্রমিক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করাই বর্তমানে আমাদের কৃষিখাতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

এজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই যাতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি না হয়। সে জন্য এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। বাজেটে কৃষিখাতে উৎপাদন অব্যাহত রাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোর মতো কৃষি খাতে ভর্তুকি, সার- বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ প্রণোদনা ও সহায়তা কার্ড, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা, স্বল্প সুদ ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষি ঋণ সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া ফসল কর্তন কার্যক্রমে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কেনায় কৃষককে ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষকদের সংখ্যা দুই কোটি আট লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন।

প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিখাতে ভর্তুকি পরিমাণ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আমরা ২০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছি। বাজেটে কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণে তিন হাজার ১৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকের ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ধান-চালের সরকারি সংগ্রহ ও বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা আরও দুই লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। কৃষকের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি কৃষি রিফাইন্যান্স স্কিম গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া নিম্ন আয়ের পেশাজীবী কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ঘোষণা করা হয়ছে। বিগত বছরগুলোর মতো আমদানি খরচ যাই হোক না কেন, আগামী অর্থবছরেও রাসায়নিক সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে ও কৃষি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।