তিনি বলেন, আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা দেশের উপকূলবর্তী এলাকার জন্য কক্সবাজার থেকে শুরু করে সাতক্ষীরা পর্যন্ত এলাকার প্রায় ২০ লাখ হেক্টর জমিতে মাত্র একটি ফসল হতো। এজন্য তারা লবণসহিষ্ণু জাত আবিষ্কার করেছে।
শুক্রবার (১২ জুন) বাজেটোত্তর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এরমধ্যেই গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করতে হয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা, স্থবিরতা ও একটা মহামন্দার কথা চিন্তা করতে হচ্ছে। তাপরও আমরা সামনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আমাদের ২০২০ থেকে ২০৪১ ভিশন ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সামনে নিয়েই বাজেট হয়েছে।
‘গত তিন মাস কোভিডের কারণে অর্থনীতির অনেক ক্ষতি হয়েছে। গত অর্থবছরের আমাদের তেমন অর্জন হয়নি। আগামী অর্থবছরের কার্যক্রম সাধারণত শুরু হয় সেপ্টেম্বরের পর থেকে। আমি বিশ্বাস করি কোভিড আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। তখন আমরা আগের অবস্থায় ফিরতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। বাজেট বাস্তবায়নেও কাজ করে যাবো। ’
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী অবশ্যই একটি বাস্তবধর্মী বাজেট দিয়েছেন। তারপরও যদি কোনো ঝড় বা দুর্যোগ আসে সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে। তারপরও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে হবে।
আম্পান ঝড়ে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোন প্রকল্প দেখতে পাইনি- এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, উপকূলের বাঁধগুলো কোনো কোনো এলাকায় এমনভাবে ভেঙে যায় যা দীর্ঘদিনের জন্য পানির নিচে চলে যায়। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনী কাজ করছে। পাশাপাশি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়তো রয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর পটুয়াখালী থেকে তরমুজ আসছে। গত ১০ বছর আগে সেখানকার মানুষ তরমুজ চিনতো না। আজ সেখানে দেড় লাখ টন তরমুজ হচ্ছে, মুগডাল হয়েছে। সেখানে শুধু আমন ধান হতো।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকার জন্য ফসলের নতুন অনেক প্যাকেজ রয়েছে আমাদের। সেখানে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আমাদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয় উপকূলবর্তী এলাকায় আগামী মৌসুমের জন্য বিনামূল্যে আমনের বীজ ও সার দিচ্ছি। আউশের বীজ সার দেওয়া হয়েছে। আগামী রবি মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৮৪৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২০
জিসিসি/এএ