শনিবার (১৩ জুন) এফবিসিসিআই সভাপতির কাছে দেওয়া এক আবেদনে সরকারের প্রতি এসব দাবি জানিয়েছেন বিসিএমএ প্রেসিডেন্ট মো. আলমগীর কবির।
আবেদনে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাবগুলো প্রতিফলিত না হওয়ায় বাজেট চুড়ান্ত করার সময় এসব দাবি বাস্তবায়নে এফবিসিসিআইকে যথাযথ ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সিমেন্ট তৈরির মূল কাঁচামাল ক্লিংকার সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। সিমেন্টে এর ব্যবহার প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য হিসেবে কোনো অবস্থাতেই এর স্পেসিফিক শুল্ক প্রতি মেট্রিক টনে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকার বেশি হওয়া যৌক্তিক নয়। অথচ বাজেটে তা ৫শ’ টাকা করা হয়েছে। অগ্রিম আয়করের সাধারণ ধারণা হলো, সরকার যে পরিমাণ অর্থ কর্তন করবে, তার তুলনায় কমে কর পরিশোধিত হয়ে গেলে অতিরিক্ত কর্তনকৃত অর্থ যথাসময়ে ফেরত দেওয়া হবে।
‘অথচ সিমেন্টের ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ নির্ধারণপূর্বক তা চূড়ান্ত দায় হিসেবে গণ্য করে ফেরতযোগ্য অর্থ দেওয়া হয় না। ব্যবসায়ীদের লাভ হোক বা লোকসান, ওই অর্থ নেওয়া হয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এটি কাম্য হতে পারে না। ’
এসব বিষয় বিবেচনা করে সিমেন্ট উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকারের ওপর আরোপিত নির্ধারিত শুল্ক প্রতি মেট্রিক টনে ৩শ’ টাকা করা এবং আমদানি স্থলে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ ও সরবরাহের বিপরীতে আয়কর ৩ শতাংশের ধারা দুটি বিলুপ্ত করার দাবি জানায় বিসিএমএ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
এসই/এইচজে