শনিবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব চার্টাড অ্যাকাউন্টেট অব বাংলাদেশ আয়োজিত বাজেট পরবর্তী ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট মো. হুমায়ন কবির।
তিনি বলেন, বাজেট দিয়ে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের চলমান রাখার উদ্যোগ নিয়েছে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
চলমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে সরকার যে বাজেট দিয়েছে তার কার্যকারিতা আসলে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে। সেদিক থেকে বাজেট ইতিবাচক হয়েছে।
হুমায়ন কবির বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। ঘাটতি মোকাবিলায় অর্থমন্ত্রী ব্যাংক থেকে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিগত অর্থ বছরে ঘাটতি মোকাবিলায় ব্যাংক থেকে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ ঋণ নিতে হয়েছে সরকারকে। ফলে, অর্থবছর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই বছরের ঋণও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে। সরকারের ব্যাংকের উপর নির্ভরশীলতার কারণে প্রাইভেট সেক্টর বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার এই অর্থ সঠিকভাবে উন্নয়ন খাতে ব্যয় করলে অর্থের সার্কুলেশনের মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টরে এই অর্থ ফিরে আসবে বলে আমরা মনে করি। অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব প্রশমিত করা এবং বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যাপক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন। বাস্তবায়ন সক্ষমতা সাপেক্ষে ব্যাংক ঋণে নির্ভরতাকে আমরা নেতিবাচক মনে করছি না।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
এসই/এনটি