অন্যদিকে যারা নগরের অধিবাসী, তারা ভ্যানগাড়িতে কিংবা ফেরি করে পাড়া-মহল্লার গলিপথে বসে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছেন। তবে এবার সে সুযোগটুকুও বন্ধ হতে বসেছে।
সোমবার (১৫ জুন) কথা হয় এমন এক ব্যবসায়ী সুজনের সঙ্গে। তিনি এর আগে গুলিস্তান ফুটপাতে ছোটদের পোশাক বিক্রি করতেন। এখনো পোশাক বিক্রি করলেও তার ব্যবসার ধরন পাল্টেছে। ফুটপাতের পরিবর্তে এখন ভ্যানগাড়িতে করে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার গলিপথে বসেন। আগের মতো বিক্রি আর নেই, সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তার।
সুজন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে দিনে সাতশ’ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হতো। আজ (১৫ জুন) দুপুর হয়ে গেলো অথচ বিক্রি হয়েছে তিনশ’ টাকা। জানিনা দিনের বাকি অংশে (৪টা পর্যন্ত) আর কত বিক্রি হবে। এখন পরিবার নিয়ে চলতে পারছি না। বাসাভাড়া নিয়ে চিন্তা হয়, চাল-ডালের কথাতো বাদই দিলাম। ’
একই কথা জানান ব্যবসায়ী রফিক। এর আগে তিনি খিলগাঁও ঝিলপাড়ে ফুটপাতে জুতার ব্যবসা করে সংসার চালাতেন। দুপর পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে ৭২০ টাকার।
তিনি বলেন, ‘আগে ঝিলপাড়ে বসে ব্যবসা করতাম। ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভালোই ছিলাম। এখন করোনার থাবায় সব শেষ হতে চলেছে। বিক্রি নাই, অন্য ব্যবসা করবো সে পুঁজিও নাই। এখন পরিবারে জন্য ভালো খাবার নিতে পারি না। জানি না এ পরিস্থিতি কতদিন থাকবে, আল্লাহ হেফাজত করো, আর পারি না। ’
এ ব্যবসায়ীর কাছে জুতা কিনতে আসা নয়ন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘ভাই এখন আর মানুষের কাছে টাকা-পয়সা নাই। তাদের কাজ না থাকলে টাকা-পয়সা কোথা থেকে আসবে? তাই অনেকেই মিতব্যয়ী হয়েছেন। অনেকের পণ্য প্রয়োজন, কিন্তু অর্থ নেই। তবে আয় থাকলে, পরিবেশ ভালো থাকলে, সবাই ভালো থাকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
ইতআর/এফএম