গত ১০ জুন কালিয়াকৈরের পশ্চিম চন্দ্রায় ওয়ালটনের শোরুম ‘হাজি ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ২১৮ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন ওয়াজেদ। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে।
সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্রেতাদের এ সুবিধা দিচ্ছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ৮ জুন থেকে শুরু হওয়া এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।
ওয়াজেদ আলী জানান, তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকায়। ৬ বছর বয়সে এক দুর্ঘটনায় ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায় তার। পড়াশোনারও সুযোগ হয়নি। ঢাকায় এসে নানান জায়গায় কাজ করেন। পরে ২০০১ সাল থেকে করছেন দর্জির কাজ। গাজীপুরের দক্ষিণ পানিশাইলে ছোট একটি দোকান রয়েছে তার। স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী। দুই সন্তান নিয়ে চার সদস্যের পরিবার তার। অনেকদিন ধরে একটি ফ্রিজ কেনার ইচ্ছা ছিলো। স্ত্রীর বেতন এবং অল্প অল্প করে নিজের জমানো টাকা দিয়ে ফ্রিজটি কেনেন ওয়াজেদ। ওয়ালটন থেকে কেনা ওই ফ্রিজেই ভাগ্য বদলে গেলো তার।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রথম কোনো কোম্পানি থেকে কিছু উপহার পেলাম। দোকানে আসা অনেকের কাছ থেকে শুনেছি ওয়ালটন দেশীয় কোম্পানি। তাদের ফ্রিজ দামে সাশ্রয়ী। কিন্তু মানে অনেক ভালো। তাই কষ্ট করে জমানো টাকা দিয়ে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকায় বাড়িতে গরুর ফার্ম করে বাকি জীবন গ্রামেই কাটাবো।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন সেভেন এর প্রথম মিলিয়নিয়ার ওয়াজেদ। অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াজেদ আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা, ক্রয় সক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ফ্রিজ উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন ফ্রিজের ডিজাইন এবং মানোন্নয়নে দেশ-বিদেশের দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) টিম কাজ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত আরো উন্নত ও অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, নান্দনিক ডিজাইনের ফ্রিজ বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন।
স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআইয়ের ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
এএটি