ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টাকার খোঁজে সরকার, মিলছে ২০০ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
টাকার খোঁজে সরকার, মিলছে ২০০ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ

ঢাকা: সরকার দ্রুত অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ১ দশমিক ০৩ ট্রিলিয়ন ডলার উদ্দীপন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাক্কলিত জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এ জন্য বাজেট বাস্তবায়নে আরও নতুন নতুন উৎস থেকে অর্থের সন্ধান করা হচ্ছে। সরকার আশা করছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে, যা প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

ইআরডি সূত্র জানায়, সরকার বাজেট বাস্তবায়ন করতে নতুন নতুন অর্থের খোঁজে রয়েছে। সরকারের বিনিময় ভারসাম্য সহায়তার (বিওপি) অনুরোধে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (জাইকা) বড় উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ঋণ সাড়া মিলেছে।



এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে এডিবি ইতোমধ্যেই ৫০ কোটি ডলার ছাড় করেছে। বিশ্বব্যাংক ও এআইআইবি উভয় থেকে ২৫ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৭৩ দশমিক ২ কোটি ডলার বিওপি সহায়তা দিয়েছে। সরকার আশা করছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ঋণ মিলবে। এ সহায়তাসহ ২০২০-২১ অর্থবছরে ঘাটতি অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে, যা টাকার অংকে প্রায় ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরে বহিঃখাত থেকে অর্থায়ন জিডিপির ০ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থায়ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বর্ধিত ঋণের পর সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অভ্যন্তরীণ অর্থায়নই মধ্য-মেয়াদে ঘাটতি অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে থাকবে।

মোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নতুন এডিপির আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা খরচ করা হবে। বাজেটে এডিপি খাতে বেড়েই চলেছে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ছিল ৬২ হাজার ১ কোটি টাকা। অথচ ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে বৈদেশিক ঋণের আকার ছিল ৪৩ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। ফলে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। এ বাড়তি চাহিদা মেটাতেই মূলত বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে এডিপিতে বা বাজেট বাস্তবায়নে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বব্যাংক) শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তারা এটা দিতে চেয়েছে। বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকে। এছাড়া আরও কিছু প্রকল্প পাইপ লাইনে আছে। এসব প্রকল্পের আওতায় ঋণ দেবে সংস্থাটি। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এমআইএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।