বুধবার (১৭ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিতীয় অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিটিএ সম্পাদনের জন্য পিটিএ টেক্সটসহ অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করা হয়েছে। উভয় পক্ষ পিটিএ সম্পাদনের জন্য একমত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে এবং ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধা পাবে। তবে, পর্যায়ক্রমে পণ্য সংখ্যা নেগোসিয়শেনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা হবে। ভুটান থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আমদানি করা গেলে আমাদের দেশের জন্য নির্মাণ সামগ্রীর ব্যয় হ্রাস পাবে যা নির্মানখাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এছাড়া স্বল্পমূল্যে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করা সহজ হবে।
এ আলোচনা শেষ হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে। এটি হবে বাংলাদেশের জন্য প্রথম ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই।
ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। এ কারণে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সুসর্ম্পক বিদ্যমান।
দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল ২৬ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। বাংলাদেশ থেকে ভুটানে মূলত তৈরি পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, প্লাস্টিক, ওষুধ, গৃহসজ্জাসামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী রপ্তানি হয়। অন্যদিকে, ভুটান থেকে বাংলাদেশে সবজি ও ফলমূল, নির্মাণসামগ্রী, বোল্ডার পাথর, ক্যামিক্যালস আমদানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি