ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনায় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগ লাভজনক হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
করোনায় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগ লাভজনক হবে

ঢাকা: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংকটে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বাংলাদেশ- ভারতের যৌথ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি উভয় দেশের কল্যাণ নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় বলে মন্তব্য করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) এফবিসিসিআই থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার (২২ জুন) রাতে এফআইসিসিআই আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট: স্টেকহোল্ডার্স ইন্টের‍্যাকশন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।



ওয়েবিনারের প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।

এফবিসিসিআই সভাপতি ফজলে ফাহিম বলেন, কোভিড-১৯ সংকটের সময়ে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় নয় বিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। এজন্য অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যৌথ বিনিয়োগ, যেসব পণ্য এবং সেবার কাঁচামাল ভারত থেকে এসে বাংলাদেশে পণ্য প্রস্তুত হয়ে পুনরায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে সেসব পণ্য ও সেবার ভ্যালু চেইনেরই একটি অংশ। এর ফলে যৌথ বিনিয়োগের কৌশলটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

তিনি বলেন, আমাদের গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে। বাণিজ্যের জন্য সেরা পথ হলো জলপথ। তার পরেই রয়েছে রেলওয়ে। অবশ্যই যাত্রীবাহী যানবাহনের মাধ্যমে যেসব পণ্য ও পরিষেবাগুলোতে ইতোমধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করে, সে বিষয়েও যত দ্রুত সম্ভব এ রুটগুলো বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কেনাকাটা সহজ করতে ভারতীয় ব্যাংকগুলো থেকে বিলম্বিত এলসি দেওয়ার সুবিধা বিলের দিন থেকে আরও ২৪০ দিন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান শেখ ফজলে ফাহিম।  

ওয়েবিনারের প্রধান বক্তা রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, দুই দেশই পণ্য সরবারহ করার ক্ষেত্রে কতটুকু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা যাচাই করার জন্যই ভারতীয় রেলওয়ে ও বাংলাদেশ রেলওয়ে এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভারত আঞ্চলিক সহযোগিতাটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে যাত্রী ও বাণিজ্যিক যানবাহনের উপর শুল্ক কমানোর বিষয়ে চিন্তা করেছে। এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞরা ভারত সরকারকে অভিনন্দনও জানিয়েছে।

ওয়েবিনারে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার প্রেসিডেন্ট (গ্রুপ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) মনোজ চোগ বলেন, উচ্চ আমদানি শুল্ক থাকার কারণে বিশেষ করে যাত্রী ও বাণিজ্যিক যানবাহনগুলোর ক্ষেত্রে দুই দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে বাংলাদেশের বাজারে এ ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে যথাযথ রিটেইল ফাইন্যান্স কার্যকর করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসি) সেক্রেটারি জেনারেল দিলীপ চেনয় ও এফআইসিসি ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মানিষ সিংহলের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহম্মেদ, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং গ্রুপ এসবিআইয়ের ডিএমডি ভেঙ্কট নাগেশ্বর সি ও সিএনএইচ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর (ইন্টারন্যাশনাল) অশোক অনন্তরামন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।