বুধবার (২৪ জুন) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দেশের ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নসহ যাবতীয় ব্যাংকিং সেবা প্রদানরে লক্ষ্যে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ও ই-কমার্স অ্যাসোসয়িশেন অব বাংলাদেশ’র (ই-ক্যাব) মধ্যে এক সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোস্তফা জব্বার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, তরুণ ও সৃজনশীল ই-কমার্স উদ্যোক্তারা নিজেদের মেধা ও জ্ঞান দিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সেবার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করে তুলছেন।
প্রাইম ব্যাংক’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী র্কমর্কতা রাহেল আহমেদ ও ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যালায়ন্সের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদশে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাতের দ্রুত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ই-ক্যাব ও প্রাইম ব্যাংকের উদ্যোগে এই সহজ র্অথায়ন সুবধিা ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করবে। এ চুক্তি মোতাবেক ই-ক্যাবের সদস্য প্রতষ্ঠিানগুলো প্রাইম ব্যাংক থেকে জামানতবিহীন র্সবোচ্চ ৫০ লাখ টাকা র্পযন্ত লোন ও অন্যান্য আর্থিক সেবা পাবে। এর ফলে উদীয়মান এই খাতের প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হবে, সৃষ্টি হবে নতুন র্কমসংস্থান। উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ পাবেন।
এ চুক্তির ফলে ই-কমার্স প্রতষ্ঠিানগুলো ওর্য়ার্কিং ক্যাপিটাল (সিসি, ওডি ও ডিমান্ড লোন), ফিক্সড অ্যাসেট ক্রয় ও ক্যাপটিাল এক্সপেন্ডিচারের জন্য র্টাম লোন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সল্যুশন (এলসি এলএটিআর, আইডিবিপি), ব্যাংক গ্যারান্টি, ওর্য়াক র্অডার ইত্যাদি র্অথায়ন সুবিধা পাবে। ডিপোজিট সুবধিা ও ই-ট্রানজকেশনরে জন্য ইন্টারনটে ব্যাংকিং-অ্যালটিচুড-সার্ভিসও পাবে। লোনের জন্য দুই বছররে ব্যবসার অভজ্ঞিতা ও ই-ক্যাবের সুপারিশ পত্রের প্রয়োজন হবে। ই-ক্যাবের সদস্যরা যাতে বাসায় বা অফিসে বসেই অনায়াসে লোনের আবদেনসহ যাবতীয় ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারেন সে জন্য প্রাইম ব্যাংক আলাদাভাবে রিলেশনশিপ ম্যানজোর নিয়োগ দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, এই খাতের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ব্যবস্থায় ব্যাংক ঋণ থেকে বঞ্চিত। করোনার কারণে এই খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা।
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্স খাত গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। করোনার কারণে ই-কমার্সের কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা আজ প্রতিষ্ঠিত এক বাস্তবতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ই-কমার্স উদ্যোক্তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। গত কয়েকদিন ধরে জরুরি অবস্থার মধ্যে আমরা যেভাবে অনলাইন ব্যবসা সচল রাখার জন্য সদস্যদের পাশে ছিলাম, তেমনি আর্থিক সুবিধার জন্যও আমরা তাদের পাশে থাকবো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের এমএসএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সৈয়দ এম ওমর তৈয়ব এবং ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান নাজমুল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
এসই/এইচজে