বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সংগঠনের দফতর সম্পাদক ভজন বিশ্বাসের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায় যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে খুলনায় ক্রিসেন্ট জুট মিলসহ বিভিন্ন পাটকলের শ্রমিকদের আন্দোলন সত্ত্বেও ন্যায্য বেতন ও বকেয়া পরিশোধ না করে মালিকরা একের পর এক তাদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। এরপর আবার তাদের এ অসহায় অবস্থায় ফেলে পাটকল বন্ধ করলে তাদের আর বাঁচার উপায় থাকবে না। এ সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘গত চার বছরে পাটকল শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি বকেয়া পড়েছে প্রায় ১৬১২ কোটি টাকা। দেশের পাট শিল্প, পাটশ্রমিক ও চাষিদের রক্ষায় সরকারের টাকা নেই অথচ অস্ত্র কিনতে সরকারের টাকার অভাব হয় না। বাংলাদেশ চীন থেকে দু'টি সাবমেরিন কিনেছে ১৬৫০ কোটি টাকায়। এখন কক্সবাজারে সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করা হবে ১০২ কোটি টাকায়। সরকার ভারত থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ও রাশিয়া থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনবে। ’
করোনা মহামারিতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা যে মালিক হস্তগত হয়েছে, তাও সবার জানা। অথচ শুধু শ্রমিকের জন্য সরকারের টাকা নেই। এর আগে নিতান্ত জীবন বাঁচানোর দায়ে পাটকলের শ্রমিকদের আমরণ অনশনে নামতে হয়েছিল। তাদের সেই ন্যায্য দাবিও সরকার সুকৌশলে এড়িয়ে গেছে।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ২৬টি রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল আছে। পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) আওতাধীন এ পাটকলগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের খাদ্য, চিকিৎসা ও যাবতীয় সামগ্রীর নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। ফলে সেই নিশ্চয়তা না দিযে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বিভিন্ন পাটকলে শ্রমিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও করছে। আমরা তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাই।
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা, বকেয়া পরিশোধ, খাদ্য-চিকিৎসাসহ যাবতীয় নিশ্চয়তার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/