শনিবার (২৭ জুন) রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ জুন) জেলা গভর্নর এম খায়রুল আলম এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে গভর্নর রোটারিয়ান স্বেচ্ছাসেবকদেরকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে মোবাইল মানি ট্রান্সফার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
দেশব্যাপী কোভিড-১৯ এর বিস্তার শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের রোটারি ক্লাবগুলো একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দরিদ্র শ্রমজীবীদের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ, সচেতনামূলক পুস্তিকা বিতরণ, খাবার বিতরণ, টেলিমেডিসিন কলসেন্টার স্থাপন, পিপিই প্রদান, অক্সিজেন পুল গঠন এবং মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানে সহায়তা করা।
রোটারি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টেস্ট কিট প্রদান ও ভেন্টিলেটর স্থাপনের একাধিক প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রোটারির করোনাকালীন এই সেবাগুলো সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রোটারি কনভেনশনে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করে। আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশনও বাংলাদেশের এই উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
গভর্নর জানান, যতদিন বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ থাকবে ততদিন পর্যন্ত রোটারি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
এএটি