তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাবু বাজার ও বাদামতলিতে। এ দুই বাজারে চালের দাম বাড়েনি মোটেও।
রোববার (২৮ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরা, বাবুবাজার ও বাদামতলি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বর্তমানে রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও ও কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গুটিচাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় যা দু’দিন আগে এসব বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়, কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা, স্বর্ণা ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজিদরে। দাম বেড়ে আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায়। আতপ চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা।
আগের দামে বিক্রি হচ্ছে চিকন চাল। এসব বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজিদরে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী ও জব্বার স্টোরের মালিক জব্বার বাংলানিউজকে বলেন, এখন মোটা চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না তাই দাম বেশি পাইকারি বাজারে। চালের সরবরাহ বেশি হলে দাম কমবে। এসব বাজারে প্রতিবস্তা আটাশ চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়, পাইজাম ২২৫০, মোটা গুটি চাল ২০০০ টাকা বস্তা, নাজির ২৫ কেজি বস্তা ১৪২০ থেকে ১৫০০ টাকা, বাঁশফুল ২৭০০ টাকা বস্তা।
এ বাজারের পাইকার ব্যবসায়ী ও শাপলা রাইসের মালিক নোমান বাংলানিউজকে বলেন, গত কিছুদিন ধরে মোটা চালের বাজার বাড়তি রয়েছে। এখন ত্রাণ বিতরণের কারণে মোটা চালের চাহিদা বেড়েছে সে তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে চিকন সব চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজধানীর বাবুবাজার ও কদমতলি বাজারে চালের দাম বাড়েনি এর পরিবর্তে গত দু'দিন ধরে দাম কমেছে সব চালের।
এ বিষয়ে বাবুবাজার ও কদমতলি বাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন কেনো চালের দাম বাড়বে? এখন দাম বাড়ার পরিবেশ হয়নি বরং দাম কমেছে। গত দু'দিন ধরে প্রতিকেজি সব ধরনের চালে এক টাজা পর্যন্ত দাম কমেছে।
তিনি বলেন, মোটা চালের চাহিদা কম, তাছাড়া অন্য চালেরও ক্রেতা খুব বেশি নেই। তাই দাম বাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। বাজারে ক্রেতা নেই, কেনো দাম বাড়বে। যারা দাম বাড়াচ্ছে তারা আমাদের তুলনায় ছোট, কেনো দাম বাড়াচ্ছেন জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
ইএআর/এএ