সেটফার্স্ট এর কাছ থেকে ইতোমধ্যেই গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড (জেএসকে বাংলাদেশ) এর ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ সম্পন্ন করেছে ইউনিলিভার। অধিগ্রহণের পর কোম্পানির নাম পরিবর্তন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিলিভার জানায়, ১ জুলাই থেকে কেএসএম মিনহাজ নতুন দায়িত্বকাল শুরু করেছেন।
কেএসএম মিনহাজ গত প্রায় দুই দশক ধরে খাদ্য, গৃহ ও ব্যক্তিগত পরিচর্যাসহ ভোগ্য পণ্যের নানা খাতে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এর মধ্যে গত ৯ বছর তিনি ‘বিপণন’ এবং ‘গ্রাহক উন্নয়ন কার্যক্রম’- উভয় ক্ষেত্রেই পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০০০ সালে নেসলে বাংলাদেশ এ যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন কেএসএম মিনহাজ। সেখানে সাপ্লাই চেইন এবং ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এ যোগ দেন ২০০৬ সালে। এর পাঁচ বছরের মাথায় পদোন্নতি পেয়ে দেশের কনিষ্ঠতম বিপণন পরিচালকদের তালিকায় নাম লেখান কেএসএম মিনহাজ। একটি উজ্জীবিত এবং কর্মদক্ষ বিপণন দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ডিটারজেন্ট, ত্বক এবং চুলের যত্নে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রীর সরবরাহে দারুণ উন্নতি ঘটান। পণ্য সরবরাহের প্রতিযোগিতায় কোম্পানিকে এগিয়ে রাখার পাশাপাশি লাভজনক প্রবৃদ্ধি অর্জনেও তার অবদান অনস্বীকার্য। এছাড়া পিওরইট, নর এবং ভ্যাসলিনের মতো শক্তিশালী ব্র্যান্ড বাজারে আনার মাধ্যমে পানি, মসলাদার সুস্বাদু খাবার এবং হাত ও শরীরের যত্নে ব্যবহৃত পণ্যের ভবিষ্যত বাজারের বীজ বপনের ক্ষেত্রেও তার নেতৃত্বগুণের প্রমাণ পাওয়া যায়।
২০১৪ সালে তিনি ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর ‘বিক্রয় ও গ্রাহক উন্নয়ন’ বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন। গত ৬ বছর ধরে সফলতার সাথে তিনি সেখানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার মাধ্যমে বিভাগটিকে ভবিষ্যত উপযোগী করে তোলা, পণ্য বিতরণের ভিত্তি সম্প্রসারণ এবং ‘গো-টু-মার্কেট’ প্রতিভার চমৎকার সমন্বয় ঘটিয়েছেন তিনি।
কেএসএম মিনহাজ বলেন, ‘বাংলাদেশে ইউনিলিভার এর পুষ্টি ব্যবসার নেতৃত্ব দিতে পারাটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ। আমি খুবই আনন্দিত যে, বাংলাদেশের পুষ্টি ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বের খ্যাতিমান দু’টি প্রতিষ্ঠান পরস্পর হাত মিলিয়েছে। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য আমি বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করি, আমার পূর্বসূরীদের তৈরি দুর্দান্ত সব কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাধ্যমে ব্যবসাটিকে আগামীতে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আমি বিশ্বাস করি যে, এমন মেধাবী কর্মীদল এবং দৃঢ় ব্র্যান্ডগুলোর সহায়তায় আগামীতে বাংলাদেশে আমরা জোরালো ফুড ও রিফ্রেশমেন্ট পণ্যের ব্যবসা তৈরি করতে পারবো। ’
‘ইউনিলিভার ওভারসিজ হোল্ডিংস বি.ভি’ কর্তৃক গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ এর ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন বোর্ড ঘোষণা করেছে ইউনিলিভার। এই বোর্ডের সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদ খান।
বাংলাদেশে একটি লাভজনক ও টেকসই পুষ্টি ব্যবসা গড়ে তোলার পাশাপাশি অপুষ্টি দূরীকরণে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত জাতীয় এজেন্ডাকে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করাই ইউনিলিভারের মূল লক্ষ্য।
সরকারি তালিকাভুক্ত একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এবং জিএসকে বাংলাদেশ এর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সব পণ্য (হরলিক্স, বুস্ট, গ্লুাক্সোস-ডি) এখন থেকে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের নামে বাজারে থাকবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক হিসেবে পণ্যগুলোর মালিকানা এবং যাবতীয় দায় গ্রহণ করবে ইউনিলিভার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এসই/এনটি