বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ। বিগত ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সরকারের এ অভূতপূর্ব সাফল্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যাদের অক্লান্ত পরিাশ্রমে এ অর্জন সেই সকল প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স প্রবাহের এ উল্লম্ফনে সরকার বাস্তবায়িত ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রবাসীদের যথেষ্ট মাত্রায় অনুপ্রাণিত করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক নীতি সহায়তাও যথেষ্ঠ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। ফলশ্রুতিতে তারা নিকট অতীতে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায়।
ব্যাংকগুলো তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ধারণের লিমিট পর্যন্ত রেখে অতিরিক্ত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে। এভাবেই রিজার্ভের স্থিতি ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আমদানি দায় পরিশোধের সময় বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দায় পরিশোধের সময়সীমা বাড়ায় নিকট অতীতে দায় পরিশোধ বহুলাংশে কমেছে।
পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি খাতের (বিশেষ করে জ্বালানি খাতের) সার্বিক আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হ্রাস পাওয়ার কারণেও রিজার্ভ বেড়েছে। সম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য অনেক কমেছে এবং কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে তেলের চাহিদা কমেছে। ফলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তেল ও এলএনজি আমদানি ব্যয়ও কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২০
এসই/এএ